রবিবার, ২০ মে, ২০১২

ভারতে আন্না হাজাররে অনশন ও র্দুনীতি সমাচার




বদরুদ্দীন উমর
   
রাজনতৈকি প্রতবিাদ ও দাবি আদায়রে পদ্ধতি হসিবেে ভারতে অনশনরে প্রচলন করনে কংগ্রসে নতো গান্ধী। সইে থকেে অনশনকে আন্দোলনরে হাতয়িার হসিবেে অনকেইে অনকে সময় ব্যবহার করে আসছনে। গান্ধীবাদী সমাজর্কমী আন্না হাজারে ভারত থকেে র্দুনীতি নর্মিূল করার উদ্দশ্যেে সরকারকে লোকপাল বলি পাস করতে বাধ্য করার জন্য আমরণ অনশন করনে। 


র্বতমান বশ্বিে র্সবপ্রধান র্দুনীতগ্রিস্ত দশেগুলোর অন্যতম হচ্ছে ভারত। বশ্বিরে এই 'বৃহত্তম গণতান্ত্রকি' দশেে গণতান্ত্রকি ব্যবস্থার প্রকৃত চরত্রি এর মধ্যে প্রতফিলতি হয়থ এ কথা বললে সত্যরে কোনো অপলাপ হয় না। ভারত একটি বৃহৎ দশেও বট।ে বভিন্নি সূত্র থকেে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডরে ব্যাংকগুলোতে ভারতীয় নাগরকিদরে লাখ লাখ কোটি র্দুনীতলিব্ধ ডলার জমা আছ।ে এদকি দয়িে বশ্বিে ভারতরে স্থান র্সবর্শীষ!ে রাজনীতবিদি, সরকারি আমলা, ব্যবসায়ীদরে হসিাবে সখোনকার ব্যাংকগুলোতে এই র্অথ জমা হয়ছেে ভারতরে শ্রমজীবী কৃষক, শ্রমকি ও মধ্যবত্তিরে রক্ত শোষণ কর,ে তাদরে গরবি থকেে আরও গরবি বানয়ি,ে অভুক্ত-র্অধভুক্ত রখে,ে ভটিমোটি থকেে উচ্ছদে কর,ে তাদরে পকটে মরে।ে রাতারাতি এটা হয়ন।ি র্দীঘদনি ধরে র্দুনীতরি এই প্রক্রয়িা জারি থকেে এখন তা দশেটরি র্সবস্তর,ে বশিষেত শাসকশ্রণেীর র্সবস্তরে ছড়য়িে পড়ে যে পরস্থিতিরি সৃষ্টি করছেে তারই একটা প্রতফিলন অন্য অনকে কছিুসহ আন্না হাজাররে অনশনরে মধ্যওে দখো গলে। অনশন করে ভারতরে মতো এক বরিাট দশেে বা অন্য কোনো দশেে র্দুনীতি নর্মিূল করা বা কময়িে আনা যায়, এটা এক অবাস্তব চন্তিা। যে চন্তিা অবাস্তব তার থকেে প্রসূত র্কমসূচওি যে অবাস্তব ও পরণিামে অর্কাযকর হবে এতে সন্দহে নইে। কন্তিু আন্না হাজাররে এই অনশন ভারতে র্দুনীতি নর্মিূল করা বা কময়িে আনার ক্ষত্রেে কছিু করতে না পারলওে এ র্দুনীতি বষিয়টকিে সামনে আনার ব্যাপারে একটা ভূমকিা পালন করছে।ে এর মাধ্যমে বশ্বিরে র্সববৃহৎ গণতন্ত্র হসিবেে ভারতরে শাসন ব্যবস্থার শোষণমূলক এবং অগণতান্ত্রকি চরত্রিও অনকেখানি উন্মোচতি হয়ছে।ে বারো দনি অনশনরে পর ভারত সরকার ও তাদরে র্পালামন্টে আন্না হাজাররে দওেয়া তনিটি র্শত মনেে নওেয়ার পর তনিি আজ ২৮ আগস্ট সকালে তার অনশন ভঙ্গ করছেনে। অনশন কোনো বপ্লিবী র্কমসূচি তো নয়ই, এর দ্বারা খুব জোর কছিু সংস্কারমূলক দাবি আদায় হতে পার।ে এটা গান্ধীর অনশনরে সময়ওে দখো গছে।ে কন্তিু তা সত্ত্বওে আন্দোলনরে পদ্ধতি হসিবেে অনশনরে একটা ভূমকিা ব্রটিশি আমলে দখো দয়িছেলি। ১৯৪৭ সালরে ১৫ আগস্টরে পর জওয়াহরেলাল নহেরুর কংগ্রসে সরকার পাকস্তিানকে দয়ে নর্ধিারতি র্অথ দতিে অস্বীকার কর।ে এর প্রতবিাদে ও ভারত সরকার র্কতৃক দশে ভাগরে সময় গৃহীত সদ্ধিান্ত অনুযায়ী পাকস্তিানকে দয়ে টাকা পরশিোধ করতে বাধ্য করার উদ্দশ্যেে গান্ধী অনশন করনে এবং নহেরু সরকার পাকস্তিানকে তাদরে প্রাপ্য র্অথ প্রদান করার পর তনিি তার অনশন ভঙ্গ করনে। 


দক্ষণি আফ্রকিা থকেে ভারতে আসার পর ১৯১৪ সালে তনিি প্রথম অনশন করনে। ১৯৪৭ সালরে এ অনশনই ছলি তার জীবনরে শষে অনশন। 
গান্ধী ও তার অনুসারীরা যে অনশন করতনে এবং এখন আন্না হাজাররে মতো গান্ধীবাদী যে অনশন করছেনে তার মধ্যে কোনো ফাঁকি থাকনে।ি এই অনশনরে সময় কউে কউে নরিম্বু (পানি না খয়ে)ে উপবাস করনে। কন্তিু অধকিাংশ ক্ষত্রেইে শরীররে শুষ্কতা (ফবযুফবঃরড়হ) যাতে না ঘটে এ জন্য তারা পানি খয়েে থাকনে। গান্ধী জীবনে অনকেবার অনশন করছেনে এবং কখনও সপ্তাহরে পর সপ্তাহ। এখন আন্না হাজারে বারো দনি অনশনরে পর তা ভঙ্গ করছেনে। কাজইে এই অনশনরে র্কাযকারতিা অল্পবস্তির যাই থাকুক, এটা সহজ কাজ নয় এবং এতে জীবনরে প্রতি ঝুঁকি থাকে অনকে বশে।ি 


বাংলাদশেে এখন খুব ঘন ঘন অনশন হয়। কত রকম ইস্যু নয়িে যে অনশন হয় তারও কোনো ঠকি নইে। কন্তিু দখো যায়, এসব অনশনে কোনো সময়ইে রাত পোহায় না। আগে থকেইে ঘোষণা দওেয়া হয়, সকাল ৮টা বা ১০টা থকেে বকিলে ৪টা বা ৬টা বা ওই ধরনরে ছয় ঘণ্টা, আট ঘণ্টা অনশনরে! র্অথাৎ সকালে বশে ভালো করে খাওয়া-দাওয়া করে প্রসে ক্লাবরে সামন,ে জাতীয় জাদুঘররে সামন,ে পুরানা পল্টন,ে মুক্তাঙ্গনে অথবা ওই রকম কোনো জুতসই জায়গায় শতরঞ্জি বছিয়ি,ে শাময়িানা টাঙয়িে এসব অনশন হয়! র্অথাৎ রমজানরে সময় ভোর রাতে খয়েে পরদনি সন্ধ্যা র্পযন্ত রোজাদাররা এক মাস ধরে যভোবে দনিে উপোস থাকনে সে রকম কছিুও এই তথাকথতি অনশনগুলোতে দখো যায় না! অনশনকারীরা দব্যিি খাওয়া-দাওয়া করে মজলসিে বসে আড্ডা দয়িে অনশন পালন করনে! ফলে দখো যায়, গান্ধী ও গান্ধীবাদীদরে অনশনরে যে র্কাযকারতিা ছলি বা এখনও আছ,ে যা এখন আন্না হাজাররে বারো দনিরে অনশনরে মাধ্যমে নতুন করে দখো গলে, তার তলিমাত্র বাংলাদশেি রাজনীতবিদি ও মানবাধকিার র্কমীদরে অনশনরে মধ্যে দখো যায় না। তবে সংবাদপত্রে এর সচত্রি রপর্িোট ছাপা হয় এবং এর মাধ্যমে অনশনকারীরা একটা প্রচার লাভ করনে। কন্তিু প্রচার লাভ করলওে যে ইস্যুতে তারা অনশন করনে সে ইস্যুর কোনো সুরাহা এই ধরনরে অনশনরে মাধ্যমে হয় না। এর কারণ, যভোবে এসব অনশন পালন করা হয় তাতে সংস্কারবাদীরা যভোবে একে ব্যবহার করে এসছেনে তাকে ব্যঙ্গ করা ছাড়া আর কছিুই হয় না। এর মধ্যে কোনো শক্তি থাকে না। অনশনরে ভণ্ডামপর্িূণ ব্যবহাররে মাধ্যমে সংগ্রামরে পদ্ধতি হসিবেে একে ভোঁতা ও হাস্যকর ব্যাপারে পরণিত করা হয়। বলাই বাহুল্য, স্বাধীন বাংলাদশেরে শাসকশ্রণেী ও তাদরে সহযোগী মধ্যশ্রণেীভুক্ত লোকজন এখন যে চারত্রিকি বশৈষ্ট্যি র্অজন করছেনে, তার সঙ্গে অনশন নয়িে এ ভণ্ডামি খুবই সঙ্গতপর্িূণ। শুধু অনশনই নয়, এখন র্ধমঘট ও হরতালরে অবস্থাও একই প্রকার। র্ধমঘট ও হরতাল জনগণরে এক গুরুত্বর্পূণ রাজনতৈকি অধকিার এবং সংগ্রামরে এক র্কাযকর হাতয়িার। কন্তিু বাংলাদশেে কারণ-েঅকারণ,ে অতি তুচ্ছ থকেে নয়িে অনকে নর্বিোধ লক্ষ্য সামনে রখে,ে বভিন্নি চক্ররে র্স্বাথে যভোবে কথায় কথায় হরতাল ও র্ধমঘটরে আহ্বান জানানো হয় ও হরতাল পালতি হয়, তাতে হরতালরে বা র্ধমঘটরে আর কোনো ধার, শক্তি বা র্কাযকারতিা থাকে না। কাজইে এসব হরতালকে বুড়ো আঙুল দখেয়িে সরকার তার নানাবধি গণবরিোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখতে অসুবধিা বোধ করে না। বাংলাদশেে র্সবক্ষত্রেে র্দুনীতি যভোবে ছয়েে গছেে এটা সকলরেই জানা। ওপরে অনশন ও হরতাল-র্ধমঘট সর্ম্পকে যা বলা হলো সটো র্দুনীতগ্রিস্ত রাজনতৈকি লোকদরে অসৎ রাজনতৈকি আচরণরে অন্যতম দৃষ্টান্ত। 


ভারতে র্দুনীতি দমনরে জন্য আন্না হাজাররে অনশনরে প্রসঙ্গে ফরিে এসে দখো যায়, এক্ষত্রেে অনশনরে একটা র্কাযকারতিা থাকলওে যে উদ্দশ্যেে অনশন করা হয়ছেে সে উদ্দশ্যে এর মাধ্যমে র্অজনরে সম্ভাবনা নইে বললইে চল।ে যে তনি র্শত পূরণরে পর আন্না তার অনশন প্রত্যাহার করছেনে সগেুলো হলো, প্রধানমন্ত্রী থকেে নয়িে নম্নিস্তররে আমলাদরে লোকপাল আইনরে আওতায় আনা, প্রত্যকে রাজ্যে স্বাধীন র্দুনীতি দমন সংস্থা 'লোকযুক্ত' গঠন এবং একটি নাগরকি সনদ গঠন। সরকার ও র্পালামন্টেরে দুই কক্ষরে সদস্যদরে মধ্যে অনকে আলোচনা ও বর্তিকরে পর অবশষেে র্সবসম্মতক্রিমে আন্নার দাবি মনেে নয়িে র্পালামন্টেে প্রস্তাব পাসরে পর আন্না র্কতৃক অনশন ভঙ্গরে ঘটনার মধ্য দয়িে একদকিে যমেন ভারতরে শাসকশ্রণেীর কৗেশলজ্ঞান ও রাজনতৈকি পরপিকস্ফতার (ঢ়ড়ষরঃরপধষ সধঃঁৎরঃু) পরচিয় পাওয়া যায়, তমেনি অন্যদকিে পরচিয় পাওয়া যায় তাদরে সুবধিাবাদ এবং অসাধুতার। কারণ এই বলি পাস করা, না করার দ্বারা ভারতে র্দুনীতি দমন যে সম্ভবত সম্ভব নয় এটা কংগ্রসে নতেৃত্বাধীন কোয়ালশিন সরকার যমেন জান,ে তমেনি জানে বজিপেি এবং তাদরে চক্ররে বভিন্নি গরেুয়া র্পাট।ি শাসকশ্রণেীর এসব অংশই প্রবলভাবে র্দুনীতগ্রিস্ত। 


এদরে মধ্যে যারাই সরকার গঠন করে তারাই নজিরো র্দুনীতি করে এবং র্দুনীতবিাজদরে বরিুদ্ধে কোনো র্কাযকর পদক্ষপে না নয়িে তাদরে রক্ষা ও লালন কর।ে কাজইে আন্না হাজাররে আন্দোলনরে পছেনে থকেে বজিপেি যতই তাতে শক্তরি জোগান দকি তারা জানে য,ে এর দ্বারা কংগ্রসে সরকারকে রাজনতৈকিভাবে বড়িম্বতি করা গলেওে র্দুনীতি দমন তো দূররে কথা, কময়িে আনাও সম্ভব নয়। 


ভারতে র্দুনীতি সরকারি ও বসেরকারি র্কমক্ষত্রে,ে সমাজরে বভিন্নি ক্ষত্রেে যভোবে ছড়য়িে পড়ছেে তাতে কোনো আইনরে দ্বারাই তা নর্মিূল, দমন বা হ্রাস করা যায় না। এর বরিুদ্ধে সমাজে যে চতেনা সৃষ্টি ও সঞ্চার করা অপরহর্িায সটো সম্ভব একমাত্র দশেব্যাপী গণতান্ত্রকি ও বপ্লিবী আন্দোলনরে মাধ্যম,ে জনগণরে শক্তকিে জাগ্রত ও সংগঠতি কর।ে কাজইে এ সমস্যা আইনরে মধ্যমে অথবা কোনো সংস্কারমূলক আন্দোলনরে মাধ্যমওে সমাধান হওয়ার নয়। কাজইে লোকপালরে আওতায় প্রধানমন্ত্রী থকেে সাধারণ র্কমচারীকে অল্প হলওে দখো যাব,ে এর দ্বারা পরস্থিতিরি কোনো উন্নতি হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, যে গণতান্ত্রকি ও বপ্লিবী আন্দোলনরে মাধ্যম জনগণরে শক্তি সংগঠতি করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব তার বকিাশ রুদ্ধ কর,ে বাধাগ্রস্ত করে যারা নজিদেরে শাসন ক্ষমতা টকিয়িে রাখে তারাই হয় র্দুনীতরি জন্মদাতা ও র্দুনীতবিাজদরে রক্ষক। এটা এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার, আন্না হাজাররে লোকপাল আইন প্রয়োগরে ক্ষত্রেওে কোনো ম্যাজকি দখোতে পারে না। ভারতে এমন অজস্র আইন আছে যার ফাঁকফোকর দয়িে র্দুনীতবিাজদরে বরে হয়ে যাওয়ার সুযোগরে অভাব নইে। এ সুযোগ আগওে ব্যবহার করা হয়ছেে এবং লোকপালরে আওতায় প্রধানমন্ত্রী থকেে সাধারণ সরকারি র্কমচারীকে আনা হলওে এই সুযোগরে ব্যবহার বন্ধ হবে না। 


কাজইে আন্না হাজাররে অনশন ও আন্দোলনরে মাধ্যমে আইনরে সংস্কার করে ভারতে র্দুনীতি দমন ও নর্মিূল করা যাব,ে এমনকি উল্লখেযোগ্যভাবে হ্রাস করা যাব,ে এ চন্তিা অবাস্তব। অনকে সমস্যার মতো র্দুনীতি মোকাবলো সমস্যাও হলো এমন এক সমস্যা যার সমাধান রাজনতৈকিভাবে সম্ভব। রাজনতৈকি প্রতক্রিয়িাশীলতা ও জনগণরে সম্পদ অপহরণই যখোনে র্দুনীতরি স্রষ্টা সখোনে একমাত্র জনগণরে নজিস্ব রাজনতৈকি ক্ষমতার ব্যবহার ছাড়া র্দুনীতি দূরীকরণ সম্ভব নয়। রাজনতৈকি সমস্যার সমাধান রাজনীতরি মাধ্যমইে করতে হব।ে কাজইে আন্না হাজাররে অনশন আন্দোলন ভারতে র্দুনীতি বষিয়টকিে গুরুতর সমস্যা হসিবেে সামনে আনতে পার।ে কন্তিু এর সমাধানরে যে পথ দখোয় তা শুধু যে অর্কাযকর তাই নয়, বভ্রিান্তকিরও বট।ে 


এ প্রসঙ্গে অন্য যে কথাটি বলা দরকার তা হলো, র্দুনীতি যে ভারতরে সকল র্কমক্ষত্রেে রল্প্রব্দে রল্প্রব্দে ছয়েে আছে এ বষিয়ে জনগণকে সচতেন করার জন্য আন্দোলনরে কোনো প্রকৃত প্রয়োজন নইে। এদকি দয়িে আন্না হাজাররে আন্দোলন সমস্যাটকিে সাময়কিভাবে সামনে আনলওে এর মধ্যে র্দুনীতরি সমস্যা সমাধানরে কোনো পথ নইে। উপরন্তু এক্ষত্রেে সমাধানরে পথ সর্ম্পকে বভ্রিান্তি সৃষ্টি কর,ে এর রাজনতৈকি চরত্রি আড়াল করে আন্না হাজাররে আন্দোলন র্দুনীতি দমন ও নর্মিূলরে পরর্বিতে একে জইিয়ে রাখার র্শতগুলো টকিয়িে রাখার পক্ষইে পরোক্ষভাবে কাজ করছ।ে 
[সূত্রঃ সমকাল, ৩০/০৮/১১]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন